বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:২১ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে ডাক নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে রামগড়ের দাতারামপাড়া রাস্তারমাথা এলাকায় সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের একটি কাভার্ড ভ্যান আটকিয়ে চালক ও রানারকে অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা।
অপহরণকারীরা ২ জনের মুক্তিপণ বাবদ ৫ লাখ টাকা দাবি করেছে। রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপহৃতরা হচ্ছেন, কাভার্ডভ্যানচালক ও ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার উত্তর চাষারা এলাকার বাসিন্দা মো. আব্বাস এবং কুরিয়ার সার্ভিসের রানার মো. আল-আমিন। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার ইয়ারাপুর গ্রামে। শনিবার রাতে তাদের অপহরণ করা হলেও সোমবার সকাল পর্যন্ত উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, প্রতিদিনের মত শনিবার রাতে খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে ডাক নিয়ে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ড ভ্যানটি (ঢাকা মেট্রো-উ-১৪১৪০৭) ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। রামগড়-জালিয়াপাড়া সড়কের দাতারামপাড়া রাস্তার মাথা এলাকা অতিক্রম করার সময় মোটরসাইকেলে করে আসা ৭-৮ জন অস্ত্রধারী কাভার্ড ভ্যানটির গতিরোধ করে। সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে গাড়িটি দাতারামপাড়া রাস্তার ভিতরে কিছুদূর নিয়ে যায়। চালক মো. আব্বাস ও রানার মো. আল-আমিনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এসময় তারা কাভার্ড ভ্যানের হেলপার মো. সোলায়মানকে ছেড়ে দেয়।
হেলপার মো. সোলায়মান বলেন, ‘গাড়ি থামিয়ে অপহরণকারীরা অস্ত্রের মুখে তাদের তিনজনকে আটক করে চাঁদার টোকেন দেখতে চায়। টোকেন দেখাতে না পারায় সন্ত্রাসীরা তাদের গালমন্দ করে। এক পর্যায়ে চালক ও রানারকে তাদের মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে দ্রুত চলে যায়।’
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস খাগড়াছড়ি শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘অপহরণের পর তারা ড্রাইভারের ফোন থেকে আমাকে কল দিয়ে প্রথমে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে মুক্তিপণের অংক বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে কাভার্ডভ্যানটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। অপহৃতদের উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেননি।’